অনলাইন ইনকাম, এই কথাটি লিখে গুগলে অনেকেই সার্চ করছেন এবং অনেকেই চান অনলাইনে ঢাকা ইনকাম করতে। আজকের এই ছোট্ট আর্টিকেলের মধ্যে আমি আপনাদেরকে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে কিভাবে ইনকাম করা যায় তার সঠিক উপায় জানিয়ে দিব।
অনেকেই জানেন না মোবাইল দিয়েও অনলাইনে টাকা আয় করা যায়। যারা জানে তারা তো ঠিকই মোবাইল দিয়ে অনলাইনে আয় করে থাকে। কিন্তু কখনো কেউ সঠিক তথ্য দিয়ে আপনাকে ইনকামের পথ ধরিয়ে দিবে না।

তাই আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে মোবাইল দিয়ে কি করে টাকা আয় করতে হয় তা তো জানতে পারবেনই পাশাপাশি জানতে পারবেন, মোবাইল দিয়ে কোন কোন ওয়েবসাইটে কাজ করলে ভালো পরিমাণ টাকা আরনিং করা যেতে পারে। এবং আপনাদের বন্ধুদের মাঝেও চাইলে আমার এই আর্টিকেলটি শেয়ার করতে পারেন। তো চলুন বেশি কথা না বাড়িয়ে সরাসরি আজকের আর্টিকালে প্রবেশ করা যাক।
আরও পড়ুন:-
অনলাইন ইনকাম
অনলাইন ইনকাম হল, ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে টাকা উপার্জন করা। অনলাইন ইনকাম অনেক প্রকার হয়ে থাকে, তার মধ্যে ছোটখাটো কাজ করার জন্য মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করা যায়। আর আপনি যদি অনলাইন ইনকামের উপর অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে ডেক্সটপ বা কম্পিউটার নিতে হবে। তাহলে আপনি লাইফ টাইমের জন্য ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আর মোবাইল দিয়ে যেসব ছোটখাটো ইনকাম করা হয়। সেসব লাইফ টাইম এর জন্য নয়।
সঠিকভাবে সহজপন্থায় মোবাইল দিয়ে যদি আপনি টাকা ইনকাম করতে চান! তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ আজকের এই আর্টিকেলে আমি মোবাইল দিয়ে এ টু জেড আলোচনা করব কিভাবে সহজপন্থায় একা ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে ২০২৪
মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করার সহজ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে, যেগুলোতে আপনি ছোট ছোট কিছু কাজ করে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হল মাইক্রো ওয়ার্কার। মাইক্রো ওয়ার্কারছে ছোট ছোট কাজ যেমন ইউটিউব ভিডিও দেখা, ইমেইল খুলে দেওয়া, ADS দেখা, ফেসবুক আইডি খুলে দেওয়া ও লাইক কমেন্ট করা ইত্যাদি কাজ করে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যেতে পারে।

ঠিক এরকমই বাংলাদেশী কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেমন ও workuplace.com. এই সাইটটিতেও ঠিক একইভাবে ইনকাম করা যেতে পারে। এরকম আরও অনেক মাইক্রো জব সাইট রয়েছে, এই সাইট গুলোতে কাজ করার মাধ্যমে মোবাইল দিয়েই মাস শেষে ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করা যেতে পারে।
সরকারি অনলাইন ইনকাম
সরকারি অনলাইন ইনকাম করতে গেলে সরকারি ওয়েবসাইট গুলোতে সব সময় নজর রাখতে হয়। এছাড়াও সরকার প্রতি তিন বছর চার বছর পর পর আদমশুমারি জরিপ ও অন্যান্য ছোট ছোট কাজের জন্য কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে। সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে আপনি যদি আদমশুমারি, জরিপ ও অন্যান্য ছোট কাজের জন্য অ্যাপ্লাই করতে পারেন। তাহলে আদমশুমারি ও জরিপ করে অল্প কিছুদিন কাজ করার মাধ্যমে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং উক্ত আদমশুমারি ও জরিপ আপনাকে অনলাইনে জমা দিতে হবে।
তবে এই কাজটির জন্য পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন। নতুবা আপনি এই চাকরি পাবেন না।
স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম
একমাত্র স্টুডেন্টদের জন্যই অনলাইনে ইনকাম করার একটি বড় সুযোগ রয়েছে। স্টুডেন্টরা চাইলে তাদের লেখাপড়ার পাশাপাশি ঘরে বসেই অনলাইন ইনকাম করতে পারে। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন প্রচুর ধৈর্য ও ধারাবাহিকতা। কারণ অনলাইন সেক্টরে কাজ করতে গেলে ধারাবাহিকতা ও ধৈর্য না থাকলে কখনোই সফল হওয়া যায় না। আজকাল চাকরির বাজারে যে পরিমাণ কম্পিটিশন সেই কম্পিটিশনের মাঝে পড়াশুনা করে চাকরি করার স্বপ্ন না দেখাই ভালো। তার চেয়ে স্টুডেন্ট লাইফ থেকে যদি অনলাইনে নিজের ক্যারিয়ার করা যায় তাহলে ভবিষ্যতে চাকরি নিয়ে আর কোন চিন্তা করা লাগবে না।
সেজন্য স্টুডেন্ট লাইফ থেকেই চাইলে youtube অথবা ব্লগিং করেও টাকা ইনকাম করা যেতে পারে। এবং ইউটিউব মার্কেটিং করেও নিজের লাইফ সেটেল করা যেতে পারে পাশাপাশি ব্লগিং করেও নিজের লাইভ সেটেল করা যেতে পারে। কারণ এই কাজগুলোর ভবিষ্যৎ রয়েছে। দিন যত যাচ্ছে এসবের চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই অনলাইনে ইনকামের জন্য ব্লগিং একটি ভালো মাধ্যম। তবে এই কাজগুলোর জন্য অনেক পরিমান ধৈর্য থাকা প্রয়োজন। একটি ওয়েবসাইট দাঁড় করাতে কমপক্ষে এক বছর সময় লাগে।
লগইন করা ছাড়াও আপনি চাইলে স্টুডেন্ট লাইফ থেকেই যেকোনো কাজের প্রতি দক্ষতা অর্জন করতে পারে যেমন ফটো এডিট করা, ভিডিও এডিটিং করা, ফটোশপের কাজ শেখা, গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা ইত্যাদি যেকোনো একটি স্ক্রিল রক্ত করতে পারলেই ভবিষ্যতে ফাইবার, আপ ওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডট কম ইত্যাদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের লাইফ সেটেল করা যায়।
অনলাইন ইনকাম সাইট
অনলাইন ইনকামের জন্য সেই যেই ওয়েবসাইট গুলো রয়েছে। সেই ওয়েবসাইটগুলোতে চাইলে আপনি লাইফটাইম কাজ করতে পারবেন। কিন্তু তার জন্য লাগবে আপনার দক্ষতা ও স্কিল এবং ধৈর্য ও ধারাবাহিকতা এই দুইটি জিনিস যদি আপনি রপ্ত করতে পারেন তাহলে, আমার দেওয়া যে ওয়েবসাইটগুলো রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে অনেক ভালো পরিমাণে আর্নিং করতে পারবেন।
- YouTube: ইউটিউব হচ্ছে অনলাইন ইনকামের জন্য ঘরে বসে সবচেয়ে সহজ একটি মাধ্যম। ইউটিউব এর মধ্যে আপনি চাইলে সারা জীবন কাজ করতে পারবেন ভিডিও বানিয়ে। সে ক্ষেত্রে আপনার ভিডিও বানানোর দক্ষতা থাকা লাগবে এবং ভিডিও এডিট করার দক্ষতা থাকা লাগবে। তাহলে আপনি মাস শেষে অনেক ভাল পরিমাণ ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।
- Facebook: ইউটিউবের মতো ফেসবুকেও আপনি একটি পেজ খুলে সেখানে ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সেক্ষেত্রেও আপনার ভিডিও বানানোর দক্ষতা ও ভিডিও এডিট করার দক্ষতা লাগবে। আর লাগবে ধৈর্য ও কাজ করার মন-মানসিকতা।
- Stutter stock: শাটার স্টক হলো অনলাইনে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার জন্য সবথেকে জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটের মধ্যে ছবি বেচাকেনার মাধ্যমে আপনার ইনকাম হয়ে থাকবে। আপনি যদি ছবি তোলায় পারদর্শী হয়ে থাকেন! তাহলে এই ওয়েবসাইটে আপনি আপনার তোলা ছবিটি বিক্রি করার মাধ্যমে মাসে অনেক ভালো পরিমাণ একটি ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।
- Fiverr: ফাইবার হল অনলাইন জগতের সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস। এখানে দেশি-বিদেশি অনেক ফ্রিল্যান্সার কাজ করে নির্ভরযোগ্য ও সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হলো Fiverr.com এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি আপনার skill কে কাজে লাগিয়ে মাস শেষে ভালো পরিমান ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। এজন্য আপনার অনলাইন ভিত্তিক যে কোন কাজে দক্ষতা থাকা অতি আবশ্যক। নতুবা আপনি এগুলো সাইটে কাজ করতে পারবেন না। যেমন ধরুন ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কোডিং করা, গ্রাফিক্স ডিজাইন জানা ইত্যাদি কাজ জানা থাকতে হবে।
- Upwork: ফাইবারের মতো upwork.com ও একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। যেখানে আপনার স্কিল কে আপনি কাজে লাগিয়ে মাস শেষে হিউজ পরিমাণ ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। এখানে কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই স্কিলফুল হতে হবে। যেমন ভিডিও এডিট করার দক্ষতা, ওয়েব ডেভেলপমেন্টিং করার দক্ষতা, কোডিং করার দক্ষতা, ফটোশপ এর সমস্ত কিছু জানা ইত্যাদি আরো অনেক কাজ রয়েছে। যেগুলো আপনাকে জানতে হবে। এর মধ্যে যে সবকিছুই জানতে হবে তা নয়। যেকোনো একটি বিষয়ে আপনাকে খুব ভালো ভাবে জানতে হবে। তাহলে ওই সেক্টরের কাজ করে আপনি ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।
Google থেকে টাকা ইনকাম
আপনি চাইলে গুগল থেকে ইনকাম করতে পারবেন গুগল থেকে ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হচ্ছে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা। গুগোলে আপনার যদি একটা ওয়েবসাইট থাকে। তাহলে সেখান থেকে আপনি গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে মাসে মাসে অনেক ভালো একটি এমাউন্ট আর্ন করতে পারবেন। কিন্তু এর জন্য দরকার আর্টিকেল লেখার দক্ষতা ও ধৈর্য। google এ ব্লক স্পট বানিয়ে অনেকেই টাকা ইনকাম করছে এবং সফলতা অর্জন করেছে।
গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয়
গুগল এডসেন্স থেকে উপার্জন করতে হলে আপনার একটি ব্লগ স্পট বা ওয়েবসাইট থাকা প্রয়োজন। ওয়েবসাইট ছাড়াও আপনি গুগলের অনেক সার্টিফাইড প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। যেখান থেকে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। গুগল এডসেন্স থেকে মূলত টাকা উপার্জন হয় বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে।
অর্থাৎ আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থেকে থাকে সেখানে গুগলের বিজ্ঞাপন শো করার মাধ্যমে আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ যোগ হবে। এভাবে মাস শেষে ভালো পরিমাণের একটি টাকা আপনার ইনকাম হবে। গুগল এডসেন্স থেকে তাই গুগলে একটি ওয়েব সাইট থাকা খুবই প্রয়োজন থেকে টাকা ইনকামের জন্য।
বিশ্বস্ত অনলাইন ইনকাম সাইট
অনলাইনে ইনকামের জন্য অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। কিন্তু বিশ্বস্ততার সাথে ইনকাম করা যায় এমন ওয়েবসাইট হাতেগোনা কয়েকটি রয়েছে। তাও সেগুলো বের করা অনেক কঠিন হয়ে যায়। সাধারণ পাবলিকের কাছে কারণ বেশির ভাগই অনলাইনে টাকা ইনকামের জন্য প্রতারণার শিকার হয়ে থাকে। তাই আজকে এমন কয়েকটি বিশ্বস্ত ওয়েবসাইটের সন্ধান দিব। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই ধৈর্য ও দক্ষতার সাথে কাজ করে মাসের লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
- YouTube.com
- Facebook.com
- Tiktok.com
- Fiverr.com
- Upwork.om
- Freelancer.com
- Sutterstok.com
- Microwokers.com
- Workup.com
- Workuplace.com
এই উপরের সাইটগুলো একদম বিশ্বস্ততার সহিত কাজ করতে পারবেন এবং টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কোনরকম সমস্যা ছাড়াই। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
সরকার অনুমোদিত অনলাইন ইনকাম সাইট
সরকার অনুমোদিত কয়েকটি ওয়েবসাইট রয়েছে। যেগুলোর মাধ্যমে চাইলে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। তার মধ্যে রয়েছে বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে, ইনকাম নগদ অ্যাপের মাধ্যমে ইনকাম অথবা আপনি চাইলে Ubber ride share এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। Pathao ওয়েবসাইটে কাজ করে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন।
শেষ কথা:- অনলাইন ইনকাম
আশা করছি অনলাইনে কিভাবে ইনকাম করতে হয়, সে সম্পর্কে একটি বিস্তারিত ধারণা আপনারা পেয়ে গেছেন। আমি সমস্ত তথ্য গুলো নিয়েছি ইন্টারনেটের উপর ভিত্তি করে। আপনি যদি আমার দেওয়া পরামর্শের উপর ভিত্তি করে কাজ করে তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সফলতার মুখ দেখতে পারবেন। তবে ধৈর্য্যর সাথে কাজ করতে হবে।
কারণ এগুলো কাজ করলে সাথে সাথে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। ধৈর্য নিয়ে ছয় মাস থেকে এক বছর আপনি মনোযোগ সহকারে কাজ করলে, সফলতা আপনার একদিন আসবেই। এবং আপনি অনেক ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তো আমার আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি বিন্দু পরিমাণ উপকৃত হয়ে থাকেন! তাহলে অবশ্যই আমার ওয়েবসাইট থেকে ফলো করে রাখুন এবং নিয়মিত ভিজিট করুন। কারণ এরকমই নিত্য নতুন ইনফরমেটিভ আর্টিকেল আমার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা হয়ে থাকে। আজকের মত এতটুকুই। দেখা হবে নতুন কোন ইনফরমেটিভ আর্টিকেলে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।