সাইবার নিরাপত্তা আইন-2023 এ কী আছে, কী নেই ? Bangldaesh Digital Security Act
সাইবার নিরাপত্তা আইন-2023 এ কী আছে, কী নেই ? Bangldaesh Digital Security Act

সাইবার নিরাপত্তা আইন, সাধারণত একটি দেশের ইন্টারনেটের অপরাধ মূলক কাজগুলো কে রোধ করার জন্য এই আইন প্রণয়ন করা হয়। আজকে আমি আপনাদেরকে ২০২৩ সালে সাইবার নিরাপত্তা আইনের নতুন ধারায় কি কি সংযোজন ও বিয়োজন করা হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দেব।

এবছর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কিছু সংযোজন ও বিয়োজন আনা হয়েছে। এ সম্পর্কে অবগত করেছেন আইন প্রতিমন্ত্রী আনিসুল হক।

সাইবার নিরাপত্তা আইন-2023 এ কী আছে, কী নেই ? Bangldaesh Digital Security Act
সাইবার নিরাপত্তা আইন-2023 এ কী আছে, কী নেই ? Bangldaesh Digital Security act

ক্রিপ্টো কারেন্সি ইন বাংলাদেশ

সাইবার নিরাপত্তা আইন-2023

সাইবার নিরাপত্তা হলো একটি দেশের ডিজিটাল পদ্ধতিতে অর্থাৎ আইসিটির সহায়তা নিয়ে কোন অপরাধমূলক কাজ সংগঠন করলে সেই কাজগুলোকে প্রটেক্ট করার জন্য বিশেষ ধরনের এই আইন করা হয়েছে। যাকে বলা হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা এর মাধ্যমে ইন্টারনেট জগতে অপরাধমূলক কাজ করা থেকে সবাইকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে কিছু অসাধু মানুষ রয়েছে। যারা এই কর্মকাণ্ডগুলো করে থাকে মূলত তাদেরকে প্রতিহত করার জন্য এসব ব্যবস্থা প্রত্যেকটি দেশেই নেওয়া হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন:-

যে ধারাগুলো পরিবর্তন হচ্ছে নতুন আইনে:-

সাইবার নিরাপত্তা আইন-2023 আইনের ধারাগুলোর মধ্যে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। তার মধ্যে ২১ ধারায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে এই ২১ ধারায় কোন ব্যক্তি যদি অভিযুক্ত হতো, তাহলে তার জন্য ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান ছিল এবং এক কোটি টাকা জরিমানা করার বিধান ছিল। দ্বিতীয়বার যদি একই অপরাধ করে তাহলে সে ক্ষেত্রে তার জরিমানা দ্বিগুণ করা হয়েছিল। আর বারবার যদি একই ধারায় অভিযুক্ত হয় তাহলে তার জন্য কারা ধর্মের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ ছিল।

See also  তিব্বত পমেড এর দাম,তিব্বত পমেড এর কাজ

কিন্তু নতুন আইনে ২১ ধারায় যদি কেউ অভিযুক্ত হয় তাহলে তার জন্য ১০ বছরের কারাদণ্ডের জায়গায় সাত বছরের কারাদণ্ড নির্ধারিত করা হয়েছে। আর যাবজ্জীবন কারো দন্ড এর সাথে যে অর্থ প্রদান রয়েছে তা বাতিল করা হয়েছে। যদি একই ধারায় অভিযুক্ত বারবার মনে হয় তাহলে।

বিধবা ভাতা আবেদন ফরম 2023

অপরিবর্তিত থাকছে ৪৩ ধারা

সাইবার নিরাপত্তা আইন-2023 এই ধারাটি সম্পূর্ণ অপরিবর্তিত থাকছে। এ ধারাতে অভিযুক্ত আসামি শাস্তি ছিল ১৪ বছরের কারাদণ্ড এবং সাথে ১০ লাখ টাকা জরিমানা। আর সেই ধারাবাহিকতায় সে যদি আবারও একই অপরাধে অভিযুক্ত হতো তাহলে তাকে ১৪ বছরের জেল এর সাথে সাথে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই ধারায় পরিবর্তন না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সাইবার নিরাপত্তা কমিটি সেই সাথে সাথে এই ধারার মধ্যে কোন প্রকার জরিমানা মওকুফ অথবা জামিনের ব্যবস্থাও অন্তর্ভুক্ত ছিল না। তাই এই ধারাকে অপরিবর্তিত রাখার ব্যাপারে সাইবার নিরাপত্তা আইনে বিশেষভাবে নজরদারি করে। তাতে কোন প্রকার পরিবর্তন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সাইবার নিরাপত্তা আইন এর উপদেষ্টা বা আইন প্রতিমন্ত্রী।

সাইবার নিরাপত্তা আইন 2023 এ থাকছে জামিনযোগ্য বিধান

সাইবার নিরাপত্তা আইন-2023 এ জামিনযোগ্য আইন চালু করা হয়েছে। যেমন আগে সাইবার ক্রাইম করলে জরিমানা সহ জেলের বিধান ছিল। কিন্তু এখন সেই সাথে জামিনের কোন আইন ছিল না। কিন্তু নতুন ধারায় এবং নতুন আইনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সময় কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। যেমন ২৮ ধারায় কেউ যদি অভিযুক্ত হতো তাহলে তার জন্য পাঁচ বছরের জেলের সাথে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানার বিধান ছিল।

কিন্তু কোন রকম জামিনের ব্যবস্থা ছিল না। এই নতুন ধারায় নতুন আইন প্রমাণ করা হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে ২৮ ধারায় জামিন পাওয়া যাবে।

See also  গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সার্কুলার ২০২৪

বর্ণমালা সিম রেজিস্ট্রেশন ২০২৩

২৯-ধারায় থাকছে না,কারাদণ্ড

সাইবার নিরাপত্তা আইন-2023 ২৯ ধারায় অনেকটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে ২৯ ধারায় কোন ব্যক্তি যদি অভিযুক্ত হতো তাহলে তার জন্য তিন বছরের কারাদণ্ডসহ ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হতো। এবং আমার যদি একই ধারায় দ্বিতীয়বার অভিযুক্ত হলে তার জন্য পাঁচ বছরের কারাদণ্ডসহ 10 লাখ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া ছিল। কিন্তু এখন ২৯ ধারায় কোনরকম কারাদণ্ড নেই শুধুমাত্র জরিমানা রাখা হয়েছে।

এছাড়াও আরো কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই ধারায় আগে যদি কেউ হ্যাকিং নিয়ে কাজ করতো বা অভিযুক্ত হতো তাহলে তার জন্য কোন প্রকার শাস্তির ব্যবহার ব্যবস্থা ছিল না। কিন্তু নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এই সমস্ত বিষয়ে এখন ৩৫ ধারা জারি করা হয়েছে। যার মধ্যে কেউ যদি হ্যাকিং নিয়ে অথবা ক্রাইম করে তাদেরকে ১৪ বছরের জেল করার একটি বিধান প্রণয়ন করা হয়েছে।

এর সাথে ৩৩ ধারা বিলুপ্ত করা হয়েছে। আর যদি হ্যাকিং নিয়ে কেউ অভিযুক্ত হয় তাহলে আগে ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান থাকা সত্ত্বেও এখন তা কমিয়ে ৭ বছরে নামিয়ে আনা হয়েছে। সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত করা হয়েছে ৩৩ ধারা। ৩৩ ধারায় যদি কেউ অভিযুক্ত হতো তাহলে তাকে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হতো। কিন্তু এখন থেকে সেই ধারাকে বিলুপ্ত করা হয়েছে এবং সাথে ৩৫ তম ধারাকে জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন প্রতিমন্ত্রী আনিসুল হক।

আইসিটি আইন থেকে সাইবার নিরাপত্তা আইন

সাইবার নিরাপত্তা আইন-2023 এবছর সাইবার সিকিউরিটি আইনকে নাম পরিবর্তন করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামে অভিহিত করা হয়েছে। এর সাথে সাথে কিছু কিছু ধারার পরিবর্তন করা হয়েছে। যে ধারাগুলোর মধ্যে রয়েছে ৪৩ ধারা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ২৯ তম ধারায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। ৫৭ তম ধারায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। ৩৫ তম ধারায় নতুন করে জারি করা হয়েছে। ৩৩ তম ধারা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও ৫৫, ৫৮, ও ৭০ তম ধারায় অনেকটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সাংবাদিকদেরকে। আইন প্রতিমন্ত্রী আনিসুল হক।

See also  বড়দের হরলিক্স এর দাম কত?,Horlicks price in Bangladesh

এ সমস্ত কিছু পরিবর্তন হলেও মেজর কিছু ধারার কোন পরিবর্তন রাখা হয়নি। আর যেগুলোর পরিবর্তন আনা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আইন প্রতিমন্ত্রী আনিসুল হক। আনিসুল হক আরো জানিয়েছেন, এই সমস্ত পরিবর্তন শুধুমাত্র দেশের জনগণের হিতাহিতার জন্য এবং দেশকে সাইবার ক্রাইম থেকে মুক্ত রাখার জন্য। কিন্তু এই আইনের অনেকেই আবার ঢের প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং তারা এসব আইন মানতে ইচ্ছুক নয় বলে প্রকাশ করেছেন সাধারণ জনগণ।

সাধারণ জনগণের মতে এই আইন একদম দেশের জন্য মঙ্গলদায়ক নয় ও দেশের মানুষের কথা চিন্তা করা হয়নি বরং দেশের মানুষের হানি হবে বলে জানিয়েছে সাধারণ জনগণ।

শেষ কথা:-

সাইবার নিরাপত্তা আইন-2023,আশা করছি আপনারা বুঝে গেছেন ২০২৩ সালের সাইবার নিরাপত্তা আইনে কি আছে এবং কি নেই এ সমস্ত তথ্য আমরা সম্পূর্ণ ইন্টারনেটের উপর ভিত্তি করে কালেক্ট করেছি। তাই যতটুকু সম্ভব আপনাদেরকে সত্যি ও নির্ভুল তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এই সরকার দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে আমরা সবাই জানি। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালে ইন্টারনেট জগতকে সুরক্ষিত রাখার লক্ষ্যে এবং জনগণের মঙ্গল কামনার্থে নতুন কিছু আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। আচ্ছা দেশের মানুষকে নিরাপত্তা দিবে এবং রক্ষা করবে।

কিন্তু অনেকের মতে এই আইন হবে গ্রহণযোগ্য নয়। সম্পূর্ণ নিরর্থক একটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাধারণ জনগণ। কিন্তু আমার মতে সরকার কখনোই জনগণের অকল্যান চায়না তাই আমরা সরকারের উপর আস্থা রাখি এবং দেশকে ভালোবাসার চেষ্টা করি। আপনার যদি আমাদের আর্টিকেল ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ফলো দিয়ে রাখুন এবং নিয়মিত ভিজিট করুন।

আরও পড়ুন:-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *