পেলে কি মারা গেছে?-কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের জীবনী জানুন
পেলে কি মারা গেছে?-কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের জীবনী জানুন

পেলে কি মারা গেছে?, এই কথাটি লিখেই google এ অনেকেই সার্চ করেন। আর সঠিক তথ্য খুঁজে না পেয়ে অনেকেই হতাশায় গুগল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। আসলে এই সম্পর্কে তেমন একটা আর্টিকেল বাংলায় লেখা নেই। শুধুমাত্র সংবাদ মাধ্যম ছাড়া। সংবাদমাধ্যমের যে ওয়েবসাইটগুলো রয়েছে সেই ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ রূপে পেলের জীবনী ও পেলে কি মারা গেছে কিনা সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলা নেই।

আরও পড়ুন:-

আজকের এই ছোট্ট আর্টিকেল এর মধ্যে আমি পেলের জীবনী তুলে ধরব এবং পেলে কি আসলে মারা গেছে? নাকি বেঁচে আছে! সে সম্পর্কেও আপনারা জানতে পারবেন সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়লে। তাই মনোযোগ সহকারে আজকের আর্টিকেলটি পড়ুন এবং অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক পেলে কি মারা গেছে?

পেলে কি মারা গেছে?-কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের জীবনী জানুন
পেলে কি মারা গেছে?-কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের জীবনী জানুন

ঊনবিংশ শতাব্দীর এক কিংবদন্তি ফুটবলারের নাম পেলে। পেলে হচ্ছে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার। ব্রাজিলের সাবেক এই ফুটবলার তার ফুটবল ক্যারিয়ারে একবার দেশকে বিশ্বকাপ নিয়ে দিয়েছিল। এবং তৎকালীন সময়ে তিনি ছিলেন ফুটবল বিশ্বের মহানায়ক।

মেসির বাড়ি কোথায়

সাইবার নিরাপত্তা আইন

ব্রাজিলের এই ফুটবল তারকা এখনো জীবিত আছে কিনা? সে বিষয়ে গুগলে অনেকেই সার্চ করে এবং সঠিক তথ্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। তাই আজকে আমি তাদের জন্য অর্থাৎ যারা পেলের জীবনী জানতে চান তাদের জন্য খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পেলের ক্যারিয়ার সহ পেলে কি মারা গেছে কিনা? সে সম্পর্কে একটি বিস্তারিত বর্ণনা আপনাকে জানিয়ে দিবো। তো চলুন শুরু করা যাক।

পেলের শৈশব কাল

পেলের শৈশব কেটেছে ব্রাজিলে। তিনি ব্রাজিলেই তার শৈশব কাটিয়েছেন। পেলের জন্ম ১৯৪০ সালে। পেলের বাবার নাম দন্দিনহো এবং মাতার নাম সেলেস্তে আরাস। তেলের বাবা ছিলেন একজন ফুটবলার। ছেলেরা দুই ভাই বোন ছিলেন। শৈশবকাল থেকে তারা ব্রাজিল এই বড় হয়েছে। তারপরে বাবার হাত ধরে ফুটবলে আসা হয়েছে পেলের। ছোটবেলায় বাবার কাছ থেকেই প্রথম ফুটবল খেলার অনুপ্রেরণা পায় এই কিংবদন্তি ফুটবলার। পেলেকে ফুটবলের সম্রাট বলে অভিহিত করতো তৎকালীন ভক্ত সমর্থকরা।

See also  কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা: প্রাচীন ভেষজের আধুনিক প্রয়োগ

পরিবারের সবাই তাকে জিকো বলে ডাকত। এবং দরিদ্র পরিবারে থেকে বড় হয়েছে। দারিদ্রতা ছিল পেলের জীবনের একান্ত সংগী। অনেক কষ্ট করেই এ পর্যন্ত এসেছিলেন এই কিংবদন্তি ফুটবলার। সর্বপ্রথম ১৮ বছর বয়সে একটি ভালো ক্লাবে যুক্ত হয়েছিলেন এই কিংবদন্তি ফুটবলার। এরপর থেকে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তার ফুটবল জাদুতে সবাইকে করেছে আনন্দিত ও মনমুগ্ধকর।

ক্রিপ্টো কারেন্সি ইন বাংলাদেশ

পেলে কি মারা গেছে?

ফুটবলের এই মহান সম্রাট ২০২২ সালে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পৃথিবীর ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ৮২ বছ। তার মৃত্যুর কারণ ছিল ক্যান্সার। ক্যান্সারের সাথে বহুদিন থেকে লড়াই করে শেষমেশ ২০২২ সালে সে নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কিন্তু আজও তাকে ভোলেনি তার ভক্ত সমর্থকরা। তারা এখনো মনেপ্রাণে এই ফুটবল সম্রাটকে স্মরণ করে এবং যুগের পর যুগ চলে যাবে। তবুও এই ফুটবল সম্রাট কে কেউ ভুলতে পারবেনা। তিনি পৃথিবী ছেড়ে ঠিকই চলে গেছেন। কিন্তু রেখে গেছেন প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে তার জন্য ভালোবাসা তার ফুটবল জাদুর একাংশ।

পেলের পরিবার ও সন্তান সন্তানাদি

পেলে সর্বমোট তিনটি বিয়ে করেছিলেন এবং তার সন্তান সন্তানাদি ছিল সর্বমোট সাতটি। ১৯৬৬ সালে তিনি বিয়ে করেছিলেন। তার স্ত্রীর নাম ছিল রোসেমেরি ডস রেইস চোলবিক।

পেলে তিনটি বিয়ে করলেও একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এবং সর্বমোট তার সন্তানসন্তানাদি ছিল সাতজন। প্রথম ঘরে দুইজন। দ্বিতীয় ঘরে তিনজন এবং তৃতীয় ঘরে ছিল আরো দুজন। এই মোট সাতজন সন্তান-সন্তানাদি ছিল পেলের। তবে পেলে ব্যক্তিগত জীবনে যেমনই হোক না কেন! তার ক্যারিয়ার ছিল উজ্জ্বল। ফুটবল বিশ্বে তাকে সবাই এক নামে চিনতো। তার সময়কালে তার সমকক্ষ আর কেউ হতে পারেনি। তার কাছে কোন ফুটবলারি তার কাছে পাত্তা পায়নি। তার ধারের কাছেও ঘেসতে পারিনি।

See also  বাংলাদেশে কোন গেম খেলে টাকা আয় করা যায় | গেম খেলে টাকা আয়

পেলে গোল সংখ্যা

১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ফুটবল রাজ্যকে নেতৃত্ব দিয়েছেন কিংবদন্তী ফুটবলার পেলে আর এ সময় কালে তিনি ব্রাজিলের হয়ে খেলেছিলেন তার ক্যারিয়ারে সর্বমোট ৬৯৭ টি ম্যাচে ৭৫৭ টি গোল করেছেন। ফুটবল বিশ্বকাপে ব্রাজিলের গোলদাতা হলেন পেলে। সর্বমোট ১৪ টি গোল করেছে। তার মধ্যে ১৯৭১ সালের বিশ্বকাপে বারটি গোল করেছেন।

এছাড়াও তিনি খেলেছেন আরো বিভিন্ন ক্লাবে যেমন বার্সেলোনার হয়ে খেলেছেন সেখানে সর্বমোট গোল করেছেন ১৭০০ থেকে ১৮০০টির মত। তার মত প্লেয়ার ফুটবল ইতিহাসে অনেক কম আসবে। তার রেকর্ড সংখ্যা অনেক। তিনি যখন মাঠে নামতেন অপরপক্ষের ১১ জন প্লেয়ারের বিরুদ্ধে একাই লড়াই করতেন।

পেলে কয়টি বিশ্বকাপ খেলেছে

পেলে চারটি বিশ্বকাপ খেলেছেন। ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৬৬ ও ১৯৭০ চারটির মধ্যে তিনটিতেই তিনি বিশ্বকাপ জিতেছেন। এবং দেশকে এনে দিয়েছেন পরপর তিনবার বিশ্বকাপ ট্রফি। তার হাত ধরেই ব্রাজিলের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল।

পেলে কি মারা গেছে?-কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের জীবনী জানুনv
পেলে কি মারা গেছে?-কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের জীবনী জানুন

আর ১৯৭০ সালে যে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই বিশ্বকাপে তিনি একাই ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ ১২ টি গোল করেছেন। এরপর থেকে তিনি ফুটবলের সম্রাট হয়ে যান এবং সবার কাছে প্রিয় হয়ে ওঠেন।

 

পেলে কবে মারা গেছে?

ফুটবলের সম্রাট পেলে মারা যান ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর তিনি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ৮২ বছর। তার মৃত্যুর সময় ফুটবল ফেডারেশনের চেয়ারম্যান অর্থাৎ ফিফা এর চেয়ারম্যান তার শেষ কার্যবিধির সময় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আরো দেশের গণ্যমান্য খেলোয়াড়গণ সবাই উপস্থিত ছিলেন।

পেলে কোন ধর্মের?

ফুটবলের এই কিংবদন্তি সম্রাট ছিলেন ক্যাথলিক বা খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী। ছোটবেলা থেকেই তিনি খুব ধর্মভীরু ছিলেন। এবং যথাযথ নিয়মে তার ধর্মকে তিনি পালন করার চেষ্টা করতেন। তিনি কখনো ধর্মীয় বিষয়কে অবজ্ঞা করতেন না। যথেষ্ট চেষ্টা করতেন ধর্মকে মেনে চলার জন্য শেষ বয়সেও তিনি ধর্মকে আঁকড়ে ধরেছিলেন।

See also  কসকো সাবান কোন কোম্পানির?-কসকো গ্লিসারিন সাবান দাম

শেষ কথা:- পেলে কি মারা গেছে?

আশা করছি আপনারা আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে পেলে কি মারা গেছে? এই ব্যাপারে একটি বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। এর বাইরেও আমি আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে পেলের শৈশবকালের পরিবার সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এর বাইরেও আমি আলো আরো আলোচনা করেছি, পেলের ক্যারিয়ার সম্পর্কে অর্থাৎ কয়টি বিশ্বকাপ খেলেছে এর পাশাপাশি তার রেকর্ড কেমন? পেলে কয়টি বিশ্বকাপ নিয়েছে? সে সম্পর্কেও আমি আপনাদেরকে ধারণা দিয়েছি।

আর এই সমস্ত তথ্য আমি নিয়েছি উইকিপিডিয়া থেকে। আপনি যদি পিলের সম্পূর্ণ জীবনী জানতে চান, তাহলে উইকিপিডিয়াতে ভিজিট করতে পারেন। উইকিপিডিয়াতে খুব সুন্দর ভাবে পেলের জীবনী উল্লেখ করা আছে। আর সর্বশেষ কথা হচ্ছে, আপনি যদি আমাদের আর্টিকেল পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েব সাইটটিতে নিয়মিত ভিজিট করবেন এবং আমাদের আর্টিকেলগুলো পড়বেন। কারণ আমরা প্রতিনিয়ত এরকম ইনফরমেটিভ আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। দেখা হবে অন্য কোন নতুন ইনফরমেটিভ আর্টিকেলে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।