কসকো সাবান কোন কোম্পানির, প্রিয় বন্ধুরা আপনারা অনেকেই জানেন না কস্কো সাবান কোন কোম্পানির? এছাড়াও কসকো সাবানের দাম কত? এ সম্পর্কেও অনেকেই অবগত নয়। শরীরের দুর্গন্ধ ও সচলতা ধরে রাখার জন্য অনেক আগে থেকেই সাবানের ব্যবহার হয়ে আসছে। সাবানের ব্যবহারের ফলে গায়ের যেমন দুর্গন্ধ দূর হয়, তেমনি ভাবে সাবান ব্যবহারের ফলে শরীরের ত্বকের অনেক উন্নতি সাধন হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় কস্কো সাবান বাংলাদেশে প্রায় দেড় যুগ থেকে বাংলাদেশের বাজার দখল করে আছে। আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে আপনাদেরকে আমি জানানোর চেষ্টা করব, কস্কো সাবান কোন কোম্পানির? সাবানের দাম কত? কসকো গ্লিসারিন সাবান ব্যবহারের উপকারিতা ও অপকারিতা। সবকিছু আজকের এই আর্টিকেলে জানতে পারবেন।
আপনি কসকো সাবানের বিষয়ে জানতে গেলে গুগলে সার্চ করবেন কিন্তু তেমন কোন আপনার চোখে পড়বে না। কারণ এ বিষয়ে এখনও তেমন ভাবে লেখালেখি করা হয়নি। আপনাদের মনের সংশয় ও অজানা তথ্য জানানোর জন্য ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নিয়েছি আপনাদেরকে এ বিষয়ে অবগত করব। তো চলুন বেশি কথা না বাড়িয়ে সরাসরি আজকের আর্টিকেলে প্রবেশ করা যাক।
কসকো সাবান কোন কোম্পানির?
কসকো সাবান কমান্ডার সোপ কোম্পানি লিমিটেডর একটি পণ্য। গ্লিসারিন সাবানের মধ্য সর্বপ্রথম বাংলাদেশের একমাত্র জনপ্রিয় একটি পণ্য। এই সাবানটি সেই বাংলাদেশ স্বাধীনতার আগে থেকেই ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সবার কাছে। কারণ তখনকার সময় একমাত্র কসকো সাবানই ছিল ভালো মানের গ্লিসারিন সাবানের মধ্য সেরা।
এরপর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এর জনপ্রিয়তা তেমন একটা কমে নি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই সাবানের জনপ্রিয়তা অনেক কমে গেছে তার মূল কারণ হচ্ছে এখন বাজারে অনেক ভালো মানের গ্লিসারিন সাবান নেমেছে। যার কারণে কসকো সাবান এর জনপ্রিয়তা কমে গেছে।
আরও পড়ুন:-
কসকো গ্লিসারিন সাবান দাম
কসকো গ্লিসারিন সাবান সাধারণত তিন ধরনের ভেরিয়েন্টে বিক্রি করা হয় ১০০ গ্রাম কসকো গ্লিসারিন সাবানের দাম ৬৫ টাকা এবং ৮০ গ্রাম এর দাম ৫৫ টাকা। এবং সর্বশেষ রয়েছে সেটি হচ্ছে ৩০ গ্রামের একদম ছোট সাইজের দাম ১৫ টাকা।
এই সাবানের মূল বিশেষত্ব হচ্ছে সাবানগুলো বেশ ভালো। এবং শরীর ও ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। এর উপকারিতা অনেক বেশি রয়েছে। যার ফলে গ্রাহকের কাছে এর চাহিদা এখনো কমেনি।
কসকো গ্লিসারিন সাবান এর উপকারিতা
সেই মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় থেকে কসকো সাবান বাংলাদেশের বাজারকে দখল করে আছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে এই সাবানের জনপ্রিয়তা কমে গেছে। কিন্তু কস্কো সাবান এখনো তার আগের বৈশিষ্ট্য ধরে রেখেছে। সবলের উপকারিতা অনেক রয়েছে। অন্যান্য সাবানের মতই অন্যান্য সাবানে যেমন গ্লিসারিন থাকে, ঠিক সেরকম কস্কো সাবানের মধ্যেও গ্লিসারিন রয়েছে। এর পাশাপাশি অন্যান্য সাবানে যেরকম সুগন্ধি আছে, তেমনিভাবে কস্কো সাবানের মধ্যেও অনেক সুগন্ধি রয়েছে। বিশেষ করে এর উপকারিতা খেয়াল করা যায় এই সাবান গায়ে দেওয়ার পরে ত্বক অনেকটা নরম ও মসৃণ হয়ে যায়।
এর সুগন্ধি অনেকক্ষণ যাবত গায়ে লেগে থাকে। আর সর্বোপরি এই সাবনের একটা মূল বৈশিষ্ট্য হলো এই সাবানটি অনেক কম ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। অন্যান্য সাবানের তুলনায় অনেক কম ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ার কারণে একটা সমান প্রায় দুই মাস ব্যবহার করা যায়। আর এই বৈশিষ্ট্যতার জন্যই এখনো পর্যন্ত এই সাবানের চাহিদা তো কমিনিং গ্রাহকদের কাছে।
কসকো গ্লিসারিন সাবানের অপকারীতা
গ্লিসারিন সাবানের তেমন কোন অপকারিতা নেই। তবে যাদের গায়ে এলার্জি রয়েছে, তারা এসব গ্লিসারিন সাবান ইউজ করা থেকে বিরত থাকবেন। কারণ সাবানে যাদের এলার্জি রয়েছে, তাদের এই গ্লিসারিন সাবান ব্যবহারের ফলে এলার্জি বেড়ে যেতে পারে। আলাদা ভাবে কসকো সাবানের কোন অপকারিতা স্পেসিফিক ভাবে নেই। তবে এই সাবান ব্যবহারের ফলে যাদের গায়ে এলার্জি রয়েছে, তাদের এলার্জি বেড়ে যেতে পারে। কারণ এই সাবান ও গ্লিসারিন দিয়েই তৈরি করা হয়।
কোসকো সাবান এর গুনগত মান কেমন?
সেই সত্তরের দশক থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত কসকো সাবানের গুণগতমান একটুও কমেনি। ঠিক আগে যেভাবে খুব যত্ন করে এই সাবান বানানো হতো, এখনো ঠিক আগের মতই যথেষ্ট উন্নত মানের বানানোর চেষ্টা করে এই সাবান কোম্পানি। কারণ যুগের সাথে তাল মিলাতে গেলে অনেক কিছুই মাথায় রাখতে হয়। যেহেতু এখন বাজারে অনেক রকমের ভালো ভালো গ্লিসারিন সাবান বের হয়েছে। তাই কসকো সাবানো তাদের সাথে প্রতিযোগিতা করে এই সাবানের মান বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে।
তবে মূল বৈশিষ্ট্যের জায়গায় থেকে সমান এক চুলও নড়েনি। যেমন তাদের এই সাবান এর সুগন্ধি আগে যেমন ছিল ঠিক তেমনি রয়েছে। এর পাশাপাশি এই সাবানের ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ার যে হার সেটা এখনো ঠিকঠাকই রয়েছে। তাই সেই দিক থেকে বলা যায় কসকো সাবানের গুণগতমান অনেক ভালো এবং সাশ্রয় মূল্যে এই বাংলাদেশের যে কোন দোকানে পাওয়া যায়।
কোসকো সাবান কি মুখে দেয়া যাবে?
অনেকেই কসকো সাবান ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু যেহেতু গ্লিসারিন সাবান সেহেতু অনেকেই এই সাবান মুখে দিতে কিছুটা সংকোচ বোধ করে। যে আসলে এ সাবান কি মুখে দেওয়া যাবে? অন্যান্য সাবানের মত কসকো সাবানও গ্লিসারিন ও অন্যান্য উপাদান দ্বারা তৈরি করা হয়। তাই এই সাবানও মুখে দেওয়া যাবে।
তবে কেউ যদি না দিতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে কিছু করার নেই। আর যদি আপনি দিতে চান তবে তার কোন সাইড ইফেক্ট পরবেনা। এছাড়াও অনেকেই মনে করে সাবান মুখে দিলে মুখে ব্রণ দাগ ইত্যাদি হতে পারে। কিন্তু এই সাবান মুখে ব্যবহারের ফলে তেমন কিছুই হয় না।
কসকো সাবানের চাহিদা কেমন?
কসকো সাবানের চাহিদা আগে থেকেই অনেক বেশি ছিল। এখনো অনেক বেশি রয়েছে এর চাহিদা। তবে যেহেতু বাজারে অনেক প্রকার গ্লিসারিন সাবানের প্রতিযোগিতা বেড়ে গেছে। তাই কিছুটা তলানিতে পড়ে গেছে কস্কো সাবান কোম্পানি। তাই তারা তাদের সাবানের গুণগত মান আরো বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যে পদক্ষেপগুলো বেশ কাজে দিচ্ছে বলে জানিয়েছে। তারা আশাবাদী খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তারা ৭০ দশকের মতো জনপ্রিয়তা আবার ফিরে পাবে এবং বাংলার ঘরে ঘরে আবারো তারা জায়গা করে নিতে পারবে বলে আশাবাদী।
আমরাও এই আশাই করি যে সাবান ধীরে ধীরে তাদের জনপ্রিয়তা ফিরে পাক এবং সবার মনে জায়গা করে নিক। কারণ এই সাবানের মধ্যে রয়েছে অতীতের অনেক স্মৃতি। যারা একটু বয়স্ক মানুষ তারা এই ব্যাপারে আরো অনেক ভালো জানবে বলে আমার মনে হয়। তাই সর্বোপরি আমরা আশা রাখতে পারি যে, এই সাবানের চাহিদা দিন দিন বাড়ুক এবং সবার ঘরে ঘরে কস্কো সাবানের গন্ধে মুখরিত থাকুক।
শেষ কথা:- কসকো সাবান কোন কোম্পানির?
আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি যে, আপনারা এতক্ষণে জেনে গেছেন কসকো সাবান কোন কোম্পানির? আমি আজকের এই ছোট্ট আর্টিকেলের মধ্যে আপনাদেরকে কসকো সাবানের বিষয়ে একটু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। বর্তমানে কসকো সাবানের বাজার মূল্য নিয়েও কিছুটা আলোচনা করেছি। এতে করে যেন আপনারা বুঝতে পারেন কসকো সাবানের বাজার মূল্য কেমন চলতেছে! এর পাশাপাশি আমি এই ছোট্ট আর্টিকেলের মধ্যে আপনাদেরকে আরো বুঝিয়েছি এই সাবানের গুণগত মান কেমন? এবং এই স্বাভাবিক চাহিদা কেমন? ব্যবহারের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কেও আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি। এরপরেও যদি আপনাদের বুঝতে কিছুটা অসুবিধা হয়! তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
কারণ আপনার একটি মাত্র কমেন্টের বিনিময়ে আমরা আমাদের ভুলগুলো শুধরে নিতে পারব। আর আপনি যদি আমার আর্টিকেল পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন! তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট থেকে নিয়মিত ভিজিট করুন এবং আমাদের ওয়েবসাইটের নিত্য নতুন আর্টিকেল গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কারণ আমরা প্রতিনিয়তই এরকম informative আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল নিয়ে আসব ইন ফিউচারে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে নতুন কোনো আর্টিকেলে। আল্লাহ হাফেজ।